নতুন অনলাইন ডেস্ক, ২৫ ডিসেম্বর।। হাজারও ব্যস্ততায় জল খাওয়ার কথা আমরা ভুলে যাই। হার্ভার্ডের সমীক্ষা বলছে, ২৫ শতাংশ মানুষ সারাদিনে জল খেতেই ভুলে যান। একই সমস্যা দেখা দেয় বাচ্চাদের মধ্যেও। ৭৫ শতাংশ মানুষ ক্রনিকালি ডিহাইড্রেটেড ছিল। কেউ কেউ আছেন অল্প পরিমাণে জল খেয়ে অভ্যাস্ত, আবার শীতকালে জল খাওয়ার প্রবণতা এমনিতেই কম থাকে। শুধু গরমে যে পজলশূন্যতা হয় হবে তা কিন্তু নয় শীতেও শরীর ডিহাইড্রেটেড হতে পারে। শরীর ডিহাইড্রেটেড হলে ত্বক নিষ্প্রভ হয়ে যায়, মানসিক চাপ বাড়ে, হজমে সমস্যা হয়, মুখে ব্রণ দেখা দিতে পারে এবং চুল ওঠার কারণও হতে পারে। তাই ডিহাইড্রেটডকে অবহেলা করা উচিত নয়। এবার জেনে নিন শরীর ডিহাইড্রেটড হলে যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায়, সে সম্পর্কে…প্রস্রাবের রং-দীর্ঘ সময় জল না খেলে প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। এই বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা উচিত। শুধু গরমে নয়, শীতে প্রস্রাবের রং হলুদ হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে প্রস্রাবের রং সাদা কিংবা স্বাভাবিক হবে। ক্লান্তি-ডি-হাইড্রেশনের কারণে আপনি সারাদিন ক্লান্ত অনুভব করবেন। আমাদের শরীরে জলের অভাব ঘটলে কমে যায় এনার্জি লেভেল। তাই নির্দিষ্ট সময় পর পর জল খাবেন, তবে পরিমাণে কম-বেশি হতে পারে। মাথা যন্ত্রণা-সারাদিনে কোন কারণ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা করে? এটিও কিন্তু ডি-হাইড্রেশনের অন্যতম লক্ষণ। ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্য কয়েক বার জল খেয়ে দেখতে পারেন। তাতে উপকারও পেতে পারেন। পেশির টান-শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে পেশিতে টান পড়ে। হাঁটতে গেলে অথবা বসা থেকে উঠতে গেলে পেশিতে টান পড়ে। তখন খুব ব্যথা অনুভব হয়।মুখে দুর্গন্ধ-ডিহাইড্রেশনের কারণে মুখের লালা শুকিয়ে যায়। এর ফলে মুখের ভেতরে বাড়ে ব্যাক্টেরিয়ায় উপদ্রব। আর এ থেকেই দেখা দেয় মুখে দুর্গন্ধ। শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক ক্রিয়া সঠিকভাবে চালানোর জন্য জলের সাহায্য প্রয়োজন হয়। তাই জল পান কমে গেলে তখন শরীরে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। প্রত্যেকের উচিত নিয়মিত জল পান করে শারীরিক যন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির করা। অবশ্যই ছোটদের প্রতি লক্ষ্য রাখবেন, কেননা শীতে শিশুরা একদমই জল খেতে চায় না।