নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ ডিসেম্বর৷৷ সেলফি তুলে বা কারোর সুপারিশে নেতা হওয়া যায় না৷ তার জন্য যোগ্যতা থাকতে হবে৷ অবশ্য যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন মানুষের সুখ দুঃখে পাশে থেকে তাদের ভালোবাসা অর্জন করা৷ তবেই কেউ নেতা হওয়া সম্ভব৷ কারণ, বিজেপি বিশ্বাস করে মানুষের পাশে থেকেই প্রকৃত অর্থে নেতা হওয়া যায়৷ সোমবার রাজধানীর রবীন্দ্র ভবন চত্বরে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা আয়োজিত সৃজনী উন্নয়ন র্যালীতে প্রধান বক্তা হিসাবে যোগ দিয়ে ওই বার্তা দিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷
তিনি বলেন, ত্রিপুরা সরকার উন্নয়নমূলক কাজ করছে৷ এক্ষেত্রে পারদর্শী সরকারের সঙ্গে পারদর্শী সংগঠন প্রয়োজন৷ তাই, শক্তিশালী সংগঠন বুথ স্তর পর্যন্ত বিস্তৃত করার বার্তা দিলেন তিনি৷ এদিন বিজেপি সভাপতি বলেন, যেসব দলীয় জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সরকারি দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের একইসঙ্গে সংগঠনের কাজকর্মকেও গুরুত্ব দিতে হবে৷ সংগঠনকে জনতার কাছে নিয়ে যেতে হবে৷ তিনি দাবি করেন, মানুষের সুখ দুঃখের সঙ্গী হতে পারলেই নেতা হয়ে যাবেন৷ মানুষের ভালোবাসার জায়গায় নিজেকে গড়ে তুলুন৷ সেলফি তুলে নেতা হতে পারবেন না, পরামর্শ দেন তিনি৷
এদিন বিরোধীদের নিশানা করে বিপ্লবের কটাক্ষ, যারা বলছেন নতুন সরকার বেতন-ভাতা দেয়নি, চাকরি দেয়নি, তাদের উদ্দেশ্যে বলি, কেন্দ্রীয় সরকার ২৪০০ কোটি টাকা না দিলে কর্মচারীদের বেতন দেওয়া সম্ভব হতো না৷ এমন জায়গায় রাজ্যটাকে নিয়ে এসেছিল পূর্বতন সরকার৷ তিনি অনেকটা হুঙ্কারের সুরেই বলেন, যা দিয়েছি তাও দেওয়ার ক্ষমতা ছিলো না ওঁদের৷এদিন দলের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সরকারি কাজের মূল্যায়ন এবং শক্তিশালী বুথ গঠন করুন৷ তবেই ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার দীর্ঘস্থায়ী হবে৷ তাঁর দাবি, গত ২০ মাসে ২৩০০ এর উপর চাকরি হয়েছে, এর মধ্যে নিয়মিত প্রায় ২০০০৷ তৈরি হচ্ছে জব ক্রিয়েটর, যুবকরা হচ্ছেন স্বাবলম্বী৷ বলেন, ত্রিপুরা সরকার বর্তমানে শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধিতে যে কাজগুলি করে চলেছে তা যদি আগের সরকার করত তবে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অপর্যাপ্ততা থাকত না৷ তিনি বলেন, রাজ্যে যাতে একজনও বেকার না থাকে, সেই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে তাঁর সরকার৷ এক্ষেত্রে সংগঠনকেও ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি৷