নতুন প্রতিনিধি, পেচারথল, ২১ ডিসেম্বর৷৷ দুই হাতির সংঘর্ষে গর্তে পরে মাদি হাতির মৃত্যু হয়েছে৷ পেচারথলের সিদংছড়ায় ওই ঘটনায় জাতীয় সড়কের বেহাল দশাকে দায়ী করা হয়েছে৷ দুই হাতির সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে মাউথও আহত হয়েছেন৷ খবর পেচারথল থানার পুলিশ ও বন দপ্তরের কর্মীরা ছুটে গিয়ে গর্ত থেকে মৃত মাদি হাতিকে উদ্ধার করেছে৷পুলিশ জানিয়েছে, মাদি হাতি ফুলমালা(৪০) ও পুরুষ হাতি(২৩) বাবুলাল-র মালিক হচ্ছেন ইচাই মিয়া৷ তিনি কুমারঘাট সুকান্তনগর ২ নম্বর ওয়ার্ড এর বাসিন্দা৷ ওই দুইটি হাতি বন দপ্তরের বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়৷ পেচারথলের পংছড়া এলাকায় ওই দুইটি হাতিকে পালন করেন কৈলাসহরের বাসিন্দা মাউথ মতিব মিয়া৷ মতিব মিয়া জানিয়েছেন, আজ বন দপ্তরের কাজের জন্য দুইটি হাতিকে নিয়ে কুমারঘাটের চন্দ্রহাপাড়ায় যাচ্ছিলেন তিনি৷ সিদংছড়ায় জাতীয় সড়কের উপর হটাৎ দুই হাতির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়৷ তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে মাউথ আঘাত পান৷ তার একটি পা ভেঙে গেছে৷ দুই হাতির মধ্যে সংঘর্ষে হটাৎ মাদি হাতি ফুলমালা জাতীয় সড়কের কালভার্টের গর্তে পড়ে যায়৷ সেখানেই তার মৃত্যু হয়৷ মতিব মিয়া জানিয়েছেন, ভাঙা পা নিয়েই পুরুষ হাতিকে কোনক্রমে বাগে এনেছেন তিনি৷ তাঁর দাবি, মাদি হাতির বাজারমূল্য ৩২ লক্ষ টাকা হবে৷এদিকে, খবর পেয়ে পেচারথল থানার পুলিশ ও বন দপ্তরের কর্মী ঘটনাস্থলে ছুটে যান৷ খবর দেওয়া হাতির মালিককেও৷ পুলিশ জানিয়েছে, ক্রেন দিয়ে গর্তের ভেতর থেকে মাদি হাতিকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ পুলিশের অনুমান, বুকে আঘাত লাগার কারণেই মাদি হাতির মৃত্যু হয়েছে৷এদিকে, হাতির মৃত্যুর জন্য জাতীয় সড়কের বেহাল দশাকে দায়ী করেছেন স্থানীয় জনগণ৷ স্থানীয়দের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় সড়কের সংস্কার কাজ চলছে৷ কিন্তু, গতি অত্যন্ত শ্লথ৷ তাঁদের মতে, জলের পাইপ বসিয়ে কালভার্টটি ঢাকা দেওয়া হলে আজ ওই মাদি হাতির মৃত্যু হত না৷ এদিকে ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ ফরেনসিক টিম নিয়ে অকুস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷ জানা গেছে, হাতি দুটির মালিক কুমারঘাটের বাসিন্দা জনৈক রশিদ আলি৷ এ ঘটনায় তাঁর প্রায় ৩২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে৷ মৃত হাতির ময়না তদন্ত করে আজই বিকেল চারটা নাগাদ মাটিতে পোঁতা হয়েছে৷