নতুন অনলাইন ডেস্ক, ৭ ডিসেম্বর।। শাসক নরেন্দ্র মোদীর জমানায় মারাত্মক হারে অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে সংখ্যালঘু এবং দলিত সম্প্রদায়ের মানুষদের উপরে। বর্তমান শাসকেরা হিংসা এবং নির্বিচার শক্তিতে বিশ্বাস করে বলেই এমন হচ্ছে। কেন্দ্রের শাসকের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। গত এক সপ্তাহ ধরে সমগ্র দেশের সংবাদের শিরোনামে রয়েছে হায়দরাবাদ এবং উন্নাওয়ের ধর্ষণের ঘটনা। যা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে সমগ্র দেশে।
শুক্রবার ভোরে হায়দরাবাদ ধর্ষণের অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে খতম করেছে পুলিশ। উন্নাও কাণ্ডেও সেই একই উপায় অবলম্বন করার দাবি উঠতে শুরু করেছে। এরই মাঝে দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকেও আসছে ধর্ষণের খবর।এই অবস্থায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখে খুলেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কেরলের ওয়ানাড কেন্দ্রের সাংসদ রাহুল গান্ধী শনিবার সকালের দিকে সুলতান বাথেরি এলাকায় এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের দেশে মারাত্মক হারে হিংসা বেড়ে গিয়েছে।
আইনের শাসন নেই। মহিলাদের উপরে নৃশংসতা চলছে। নিত্যদিন মহিলাদের ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি এবং অত্যাচারের খবর শোনা যাচ্ছে।” নানাবিধ আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে সংখ্যালঘু এবং নিম্নবর্ণের মানুষদের উপরে। এমনই অভিযোগ তুলে রাহুল গান্ধী বলেছেন, “দেশের সংখ্যালঘু মানুষদের উপরে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে সমাজে। দলিতদের উপরেও হিংসা হচ্ছে, অত্যাচার চালানো হচ্ছে। হাত কেটে নেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য নিম্নবর্ণের মানুষদের উপরেও অত্যাচার চলছে। তাদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।” এই সকল কিছুর পিছনে সুনিদৃষ্ট কারণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর কথায়, “আমাদের দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রিকাঠামো ভেঙে গিয়েছে। মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে। আর এই সবকিছুর কারণ হচ্ছে দেশের শাসক। আমাদের দেশের বর্তমান শাসক হিংসায় বিশ্বাস করেন। নির্বিচার শক্তিতেও তারা বিশ্বাস করেন।”